এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার -নিম পাতার উপকারিতা এলার্জিতে

 

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার ও নিয়ম গুলো জানতে চাইলে পোস্টটি পড়ুন। এলার্জি বা অ্যালার্জি মুক্তির কার্যকরী উপায় নিম পাতার ব্যবহার। প্রকৃতি থেকে পাওয়া নিম পাতার বৃক্ষ একটি অলৌকিক গাছ। নিম পাতার গুনাগুন অনেক। নিম পাতার ব্যবহার আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিম পাতার ব্যবহারে বিভিন্ন রকমের রোগ নিরাময় করার ক্ষমতা থাকে।
আপনি যদি নিমপাতার ব্যবহার-উপকারিতা গুলো না জানেন তাহলে পোস্টটি পড়ে সহজে জানতে পারবেন। নিম পাতার বৃক্ষ প্রকৃতি থেকে পাওয়া প্রচুর গুণে ভরপুর একটি ঔষধি গাছ। নিম পাতা থেকে শুরু করে নিম পাতার গাছ,গাছের ছাল ও ফুল প্রচুর পুষ্টিতে ভরপুর। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ, ত্বকের সৌন্দর্য, এলার্জি-চর্মরোগ ইত্যাদি নিমপাতা খুবই উপকারী। চলুন তাহলে এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার ও বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জেনে আসি।

পেট সূচিপত্রঃ এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার 

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়। নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিম পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া থাকায় রোগ জীবাণু থেকে মুক্ত রাখে। সেজন্য বিশেষজ্ঞগণ এলার্জিতে নিমপাতা ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। আমাদের ত্বকে এলার্জি হলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু  থাকে আর নিম পাতা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে রোগ জীবাণু স্থায়ীভাবে ভালো করা যায় । 

নিম পাতায় ৪০ টি জটিল ও সাধারণ রোগ নিরাময় করার ক্ষমতা রয়েছে । বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞগণ বিশ্বাস করেন এবং নিম পাতা ব্যবহারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিম পাতার বৃক্ষ একটি উপকারী গাছ। নিম পাতার বৃক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ-জীবাণু সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। নিম পাতায় আমাদের দেহের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান পাওয়া যায়। যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম,ফসফরাস,ভিটামিন সি ও এমাইনো এসিড পাওয়া যায়।

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিমপাতা খেলে প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা পাওয়া যায়। নিম পাতা খেলে জটিলতম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে যেমন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে ও রক্তে শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে নিম পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে প্রতিদিন সকালে নিমপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন কেননা নিম পাতায় বিভিন্ন ধরনের গ্লাইকোসাইট পাওয়া যায়। 

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

আপনি কি দীর্ঘদিন ধরে চর্মরোগ-এলার্জি জনিত রোগে ভুগছেন? তাহলে পুরো পোস্টটি আপনার জন্য পোস্টটি পড়লে জানতে পারবেন কি কারনে আমাদের ত্বকে এলার্জি হয় ও এলার্জি বা চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়। চর্মরোগ-এলার্জি আসলে ফাংগাল ইনফেকশন যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে। চর্মরোগ এলার্জি হলে ভুল করেও সেখানে নখ দিয়ে চুলকানো যাবে না।কেননা চর্মরোগ,এলার্জি,দায়েদ নখ দিয়ে চুলকালে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে।

এলার্জিতে নিম পাতা ব্যবহার করার নিয়ম। আপনার যদি চর্মরোগ,এলার্জি,দায়েদ হয়ে থাকে এবং তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না তাহলে নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে আপনার দেহের চর্মরোগ জনিত জায়গায় পরিমাণ মতো লাগিয়ে দিন। অন্তত ৭ দিন নিম পাতার পেস্ট চর্মরোগ জনিত জায়গায় ব্যবহার করলে আপনি নিজে বুঝতে পারবেন কতটুকু উপকারী পাচ্ছেন। নিচে নিম পাতার পেস্ট তৈরির নিয়ম বলা হল।

নিম পাতার পেস্ট তৈরির নিয়ম

নিম পাতার ব্যবহার অনেক যুগ আগে থেকে চলে আসছে। পরিবারের মুরুব্বী দাদি-নানীদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারবেন তারা ঘরোয়া উপায়ে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত নিম পাতা ব্যবহার করতেন। এছাড়া সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নিম পাতার উপকরণগুলো তৈরি করে  প্রতিদিন নিয়ম মতো ব্যবহার করতেন। 
চর্মরোগ,এলার্জি,দাউদ রোগ জীবাণুর জন্য নিম পাতার পেস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলুন তাহলে বেশি কথা না বলে নিম পাতার পেস্ট তৈরি করার প্রক্রিয়াগুলো এক নিমিষে জেনে আসি। নিম পাতার পেস্ট তৈরি করার জন্য চারটি উপকরণ প্রয়োজন। উপকরণগুলো হলোঃ 
  • এক বাটি নিমপাতা
  • খাবার হলুদ গুঁড়া
  • এক চা চামচ নারিকেল তেল
  • কাঁচা লেবুর রস এক চা চামচ
উপরের চারটি উপকরণগুলো ব্লিন্ডার বা পাটা সিল ব্যবহার করে ভালো করে নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এভাবে ব্যবহারযোগ্য চর্মরোগ,এলার্জি,দাউদ রোগের জন্য উপকারী নিম পাতার পেস্ট ঘরোয়া উপায়ে পেয়ে যাবেন। মাথায় রাখতে হবে নিম পাতার পেস্ট সরাসরি হাত দিয়ে চর্মরোগ জনিত জায়গায় লাগানো যাবে না। টিস্যু বা পলিব্যাগ এর মধ্যে হাত ভরে নিম পাতার পেস্ট চর্মরোগ জনিত জায়গায় পরিমাণ মতো লাগিয়ে দিন। এভাবে অন্তত এক সপ্তাহ মতো নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করতে হবে।

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার। ছেলে-মেয়ে উভয় বসন্তকাল শুরু হলে ত্বকে ব্রণ বের হয়। ফেঁসে ব্রণ বের হলে ত্বকের সৌন্দর্য হারায়। আপনিও যদি দীর্ঘদিন ধরে ব্রণ জড়িত সমস্যার ভুগছেন ও ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সঠিক সমাধান না পেয়ে থাকেন তাহলে ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার আপনার জন্য খুবই উপকৃত হবে। বর্তমানে আমরা ব্রণ দূর করার জন্য বাজার থেকে কেমিক্যাল যুক্ত বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ ক্রিম কিনে থাকি। যা আমাদের ব্রণ দূর করার পরিবর্তে আরো ক্ষতি করে ফেলে।

আপনিও যদি ব্রণ দূর করার জন্য কেমিক্যাল যুক্ত ফেসওয়াশ ও ক্রিম ব্যবহার করে ত্বকের ক্ষতি করে ফেলেছেন তাহলে নিম পাতার ফেসপ্যাক ঘরোয়া উপায়ে বাসায় তৈরি করে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। নিম পাতায় রয়েছে প্রোটিন,ভিটামিন সি, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম,কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী প্রভাব ফেলে। আমাদের ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য নিম পাতা খুবই জরুরী। ব্রণ দূর করার জন্য নিম পাতার ফেসপ্যাক তৈরি করার নিয়ম ও উপকরণগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
  • এক বাটি পরিষ্কার নিমপাতা রস
  • পরিমাণ মতো কাঁচা হলুদ
  • এক কাপ মুলতানি মাটি
  • এলোভেরা জেল
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল
উপরের উপকরণগুলো ব্লিন্ডার বা পাঠা সিল দিয়ে ভালো করে মিক্সার করে নিতে হবে। তাহলে আপনার ত্বকে ব্রণ দূর করার জন্য ফেসপ্যাকটি তৈরি হয়ে যাবে। প্রয়োজন মত ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে দিতে হবে। ফেসপ্যাকটি ত্বকে ৫-১০ মিনিট রেখে দিয়ে যখন দেখবেন আপনার ত্বক হালকা শুকনো হয়ে এসেছে তখন পানি দিয়ে ফেস ধুয়ে নিবেন। এভাবে অন্তত এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনার ব্রণ ও ব্রণের কালো দাগ নিমেষে দূর হয়ে যাবে।

তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নিম পাতার ব্যবহার করতে পারেন। গরমের দিনে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে একটি হলো তৈলাক্ত ত্বক আর তৈলাক্ত ত্বক থেকেই ব্রণের সৃষ্টি। গরমের দিনে ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়ার জন্য নিম পাতার ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিম পাতার ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে।

আপনিও যদি ব্রণ দূর করার জন্য কেমিক্যাল যুক্ত ফেসওয়াশ ও ক্রিম ব্যবহার করে ত্বকের ক্ষতি করে ফেলেছেন তাহলে নিম পাতার ফেসপ্যাক ঘরোয়া উপায়ে বাসায় তৈরি করে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। নিম পাতায় রয়েছে প্রোটিন,ভিটামিন সি, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম,কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী প্রভাব ফেলে। আমাদের ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য নিম পাতা খুবই জরুরী।

নিম পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা

শত শত বছরের পুরনো টিপস গোসলের পানিতে ব্যবহার করতে হবে নিম পাতা। আধুনিক যুগ চলে আসলো এখনো থেকে গেছে দাদী-নানীদের নিমপাতা ব্যবহারের বিশেষ টিপস। তার মধ্যে একটি হলো গোসলের পানিতে নিম পাতার ব্যবহার। চলুন তাহলে জেনে নিই নিমপাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা।
  • দৈনন্দিন জীবনে গরমের দিনে কাজের চাপের জন্য আমাদের শরীর প্রচুর ঘামে এবং ঘাম থেকে সৃষ্টি হয় প্রচুর পরিমাণে গন্ধ। যা আমাদের আশেপাশে মানুষের সাথে চলাচল করতে দুর্গন্ধের জন্য লজ্জাবোধ সৃষ্টি হয়। দুর্গন্ধ যুক্ত শরীর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।
  • আবার গরমের দিনে সূর্যের তাপমাত্রা বাড়ার কারণে কাজের সময় আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে গরম উৎপন্ন হয় এতে করে কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি।মনে হয় ঠান্ডা পানিতে আধা ঘন্টা গোসল করলে বাঁচা যায়। কিন্তু নরমাল পানিতে গোসল করে তেমন স্বস্তি পাওয়া যায় না আর এই জন্য নিমপাতা দিয়ে গোসল করলে শরীর ও মন দুটোই স্বস্তিবোধ করে।
  • এছাড়া আমাদের শরীরে গরমের জন্য প্রচুর ঘাম আসে তা থেকে আমাদের শরীরে চুলকানি এলার্জি সৃষ্টি হয়। আর চুলকানি এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পানির সাথে নিমপাতা দিয়ে গোসল করলে চুলকানি এলার্জি পালিয়ে যায়।

নিম পাতা সিদ্ধ পানি খাওয়ার উপকারিতা

নিমপাতা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিম পাতায় বিভিন্ন ধরনের আয়রন,ভিটামিন সি, ফসফরাস ,প্রোটিন এছাড়া আরো অনেক ধরনের উপকরণ রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস যাদের রয়েছে তাদের প্রতিনিয়ত সকালে ঘুম থেকে উঠে নিম পাতার কিছুটা রস পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
  • নিম পাতার রস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী প্রভাব ফেলে। 
  • নিমপাতায় রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল, এন্টি মাইক্রোভিয়াল, অ্যান্টিঅক্সাইড প্রোপারটিজ যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে দেহের ইউনিটি সিস্টেম বৃদ্ধি করে। ও ছোটখাটো রোগ বালাই আক্রমণ করতে পারে না। 
  • প্রতিদিন আমাদের শরীরে খাবারের মাধ্যমে বা অন্য উপায়ে দেহে টক্সিন প্রবেশ করে। তাই এই টক্সিন আমাদের শরীর থেকে বের করে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে। প্রতিদিন খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে আমাদের শরীর থেকে টক্সিক গুলো বের করতে সাহায্য করে। 
  • গ্যাস্টিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়াই।
  •  আমাদের পাকস্থলীতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও কিরমি মারা যায় খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়ার জন্য। ত্বকের বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে খেতে পারেন নিম পাতার রস খালি পেটে।

নিম পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম

নিমপাতা খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস তৈরি করে খাওয়া এতে করে আপনার শরীরে নিম পাতার উপকারিতা গুলো বেশি কাজে লাগবে। মাথায় রাখতে হবে নিম পাতার রস খালি পেটে প্রতিদিন খাওয়া যাবেনা এতে করে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞ গুণ বলে থাকেন নিম পাতার রস খালি পেটে একটানা সাত দিন খেতে পারবে।

কিন্তু আপনি নিম পাতার উপকারিতা গুলো পেতে চাইলে ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে চাইলে একদিন পরপর একগ্লাস করে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে নিম পাতার রস খেতে হবে।  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবার সম্ভাবনা থাকে না সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে দেখা দিচ্ছে কিনা। যদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো আপনার শরীরে দেখা দেয় তাহলে নিমপাতা রস খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে।

অনেকের ক্ষেত্রে নিমপাতা খাওয়ায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় যেমন যাদের এলার্জি থাকে দেখা যায় নিমপাতা খাওয়াতে তার এলার্জি পরিমাণ টা বেড়ে গিয়েছে বা ব্রণ বেড়ে যায়।

নিম পাতা খাওয়ার সতর্কতা

নিম পাতা পুষ্টিগুণ সম্পন্ন উপাদান। নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। নিমপাতা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস নিম পাতার রস খেলে গ্যাস-বদহজম, পেটের জৈবিক কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। নিম পাতা কে অলৌকিক গাছ বলা হয়। নিম পাতা থেকে ৪০ ধরনের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে। নিম পাতা খাওয়ার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

কিন্তু নিম পাতা খাওয়ার আগে কিছু সতর্কতা মুলক নিয়ম মেনে নিমপাতা সেবন করা উচিত। নিমপাতা প্রকৃতি থেকে পাওয়া যায় ।যার জন্য নিম পাতায় কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই কথাটা সত্যি। তবে নিমপাতা খাবার বা ব্যবহার করার পূর্বে কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে যা আমাদের খুবই প্রয়োজনীয়। অনেকের নিম পাতায় এলার্জি থাকে এতে করে সেই ব্যক্তি যদি নিমপাতা ব্যবহার করে তাহলে তার এলার্জি পরিমাণ বেড়ে যাবে।
আবার অনেকের দেখা যায় নিমপাতা খাওয়া পর বা ত্বকের ব্যবহার করার পর ব্রন বের হয়। তাদের জন্য নিম পাতা না খাওয়াই ভালো। আরো একটি কথা মাথায় রাখতে হবে নিম পাতার রস খাওয়া ভালো কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া ভালো না অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীর খারাপ হতে পারে।

শেষ কথাঃ এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার 

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার নিয়ে লেখা এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সমস্ত বিষয়গুলো সহজে বুঝতে পেরেছেন বলে আমি আশা করছি। এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহারে উপকারিতা অনেক। এছাড়া নিমপাতা ব্যবহার করে রোগ-জীবাণু দূরে করা করা যায়। নিম পাতার সঠিক ব্যবহার যদি আপনি আর্টিকেলটি পড়ে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আমাদের দেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণু থেকে বেঁচে যাবেন কেননা নিম পাতা বিভিন্ন রোগ-জীবাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের শরীরে সেসব রোগ গুলো হয় না।

জটিলতম রোগ জীবাণু থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিম পাতার ব্যবহার আপনার জন্য উপকারিতা। আপনি যদি চর্মরোগ চুলকানি এলার্জি জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাহলে এই পুরো পোস্টটি আপনার জন্য যা যা মনোযোগ সহকারে করলে সেসব রোগ থেকে সমাধান পাবেন। এমনি সব নিত্য নতুন বিষয়ে কনটেন্ট পেতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডিশপ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url