ই পর্চা খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করুন

ই পর্চা খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করুন। অনেকেই ই পর্চা খতিয়ান সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন ও অনেকেই আবার ই পর্চা খতিয়ান সম্পর্কে নাও জানতে পারেন। ই পর্চা বা খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করার করার সুবিধাতে ই পর্চা খতিয়ান সম্পর্কে আপনাদের মাঝে কিছুটা বিস্তারিত জানানো হলো। 
ই-পর্চা-খতিয়ান-অনলাইনে-অনুসন্ধান-করুন
বর্তমান যুগে বিষয়টি পুরোপুরি উল্টো হয়ে গিয়েছে এখন আপনি ঘরে বসে কম সময়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে এই প্রয়োজনীয় পর্চা বা খতিয়ান বের করতে পারবেন। আপনি যদি ঘরে বসে ই পর্চা বা খতিয়ান অনুসন্ধান করার উপায় ও নিয়ম জানতে চান তাহলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়তে হবে। 

পেজ সূচিপত্রঃ ই পর্চা খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করুন

ই পর্চা খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করুন 

ই পর্চা খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে আপনার জমির ই পর্চা বা খতিয়ান বের করতে পারবেন যা আপনার মূল্যবান সময় বেঁচে যাবে। আগে মানুষ পর্চা বা খতিয়ান বের করার জন্য সরকারি অফিসে গিয়ে অনেক সময় অপচয় করতো পরিশেষে অনেকদিন পর তার জমির পর্চা বা খতিয়ান প্রয়োজনীয় নথিপত্রগুলো পেতো। সময়ের অপচয় ও সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পর্চা বা খতিয়ান এর নতিপত্র না পাওয়ার কারণে আজ বর্তমানে ই পর্চা বা খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করার প্রক্রিয়া অফিসিয়াল ভাবে চালু করে দিয়েছে। 

যেখানে আপনি অনলাইনে আপনার খতিয়ান নাম্বার বা নাম লিখে সার্চ করে প্রয়োজনীয় পর্চা বা খতিয়ান বের করতে পারবেন। যা আমাদের জন্য খুবই সুবিধা জনক কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি আপনার মূল্যবান সময় বাঁচাতে চান এবং পর্চা বা খতিয়ান অনলাইন থেকে অনুসন্ধান করার মাধ্যমে বের করতে চান তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটিতে আপনার মূল্যবান সময়টুকু দিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন । অনলাইন থেকে কিভাবে সঠিক নিয়মে ই পর্চা বা খতিয়ান বের করা যায়। তাই বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন বিস্তারিত নিচে জানার চেষ্টা করি।
অনলাইন থেকে ই পর্চা বা খতিয়ান অনুসন্ধান করে সঠিক উপায় বা নিয়ম জেনে নিন। এখন বর্তমানে পর্চা বা খতিয়ান বের করার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। আর আবেদন করার জন্য দাগ নাম্বার খতিয়ান নাম্বার বা মালিকানার নাম লিখে সার্চ করে বের করা যায় জমির সকল তথ্য। ই পর্চা বা খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করে বের করার একটি প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। যা আপনি আপনার হাতের স্মার্ট ডিভাইস টির মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি চালিয়ে ই পর্চা বা খতিয়ান বের করতে পারবেন।

জমির খতিয়ান বা ই পর্চা কি

জমির খতিয়ান বা ই পর্চা কি জিনিস? খতিয়ান সম্পর্কে বিস্তারিত অনেকের জানা রয়েছে আবার খতিয়ান সম্পর্কে অনেকে আবার তেমন কোন ধারণা না থাকায় জমির খতিয়ান কি,কেনবা আমাদের কাজে লাগবে.কি জন্য জমির খতিয়ান সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা জানবো। আমরা পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে বসবাস করে থাকি। আর বসবাস করার জন্য আমাদের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার প্রয়োজন তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা হল বাসস্থান। যেখানে আমরা প্রতিনিয়ত জীবন যাপন করে বেঁচে থাকি। আর আমরা যেখানে বসবাস করি তাকে বইয়ের ভাষায় জমি বা জমিনবলা হয়। 

আর আমাদের পৃথিবী সত্তর ভাগ পানি ও তিরিশভাগ স্থল এই স্থল বা জমি রয়েছে যেখানে বসবাস করে থাকি। আর প্রতিটা জমির বা কিছু পরিমাণ জমির মালিকানা হয়ে থাকে। মালিকানা তার জমির পরিমাণ জানার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমি দখল করে সেখানে বসবাস করে। আর জমি কথিত তথ্যগুলো সরকার দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। আর সেইসব জমির খতিয়ান নিজ মালিক এর নামে থাকে। যা বিভিন্ন কাজে প্রয়োজনে জমির খতিয়ান আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ই পর্চা ওয়েবসাইট থেকে বের করার নিয়ম 

ই-পর্চা-ওয়েবসাইট-থেকে-বের-করার-নিয়ম
  • প্রথমত আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইসটির google এ গিয়ে সার্চ করতে হবে eporcha gov bd। সার্চকৃত লিঙ্কটিতে তে প্রবেশ করলে আপনার সামনে ওয়েবসাইটটি চলে আসবে।
  • এখানে দুই ধরনের খতিয়ান আছে। যেমন সার্ভে খতিয়ান ও নামজারি খতিয়ান। দুইটি খতিয়ানের মধ্যে আপনার যেটা প্রয়োজন সেটি সিলেক্ট করতে হবে। 
  • খতিয়ানের মধ্যে আপনার তথ্যগুলো দিতে হবে। যে জায়গার খতিয়ান বের করতে চান সেই জায়গার তথ্যগুলো সঠিকভাবে দিতে হবে। যেমন বিভাগ,জেলা,খতিয়ান নম্বর ,পনার নাম।
  • পরবর্তীতে আপনি যে জায়গার খতিয়ান বের করতে চান আর আবেদন করার সময় যে তথ্যগুলো লাগবে সেগুলো সঠিকভাবে দিতে হবে। যেমন জমির মালিকানা নাম, জমির মোজা, খতিয়ান নম্বর, জমির পরিমাণ ইত্যাদি।
  • তথ্যগুলো দেওয়া হয়ে গেলে আপনি আপনার জমির খতিয়ানে তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন যেগুলো ডাউনলোড বা প্রিন্ট করে বের করে নিতে হবে। 

নামজারি বা সার্ভে খতিয়ান ডাউনলোড ২০২৫

ই পর্চা খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করুন। ২০২৫ এর নিয়ম অনুযায়ী ডাউনলোড করার উপায় আপনাদের মাঝে বিস্তারিত জানানো হলো। আপনি আপনি খুব সহজে অনলাইন থেকে ই পর্চা খতিয়ান ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড করার উপায় গুলো জানার জন্য অবশ্যই পোস্টটি পড়ে আমার সাথে থাকুন। বর্তমানে আপনি আপনার হাতের স্মার্টফো, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, পিসি, ডিভাইসের মাধ্যমে খুব সহজে অনলাইন থেকে প্রয়োজন খতিয়ানের নথিপত্র গুলো হাতের নাগালে পেতে পারেন।

চলুন তাহলে সারবে খতিয়ান ডাউনলোড ২০২৫ অনুযায়ী খতিয়ান ডাউনলোড করার উপায়গুলো এক নজরে দেখে আসি। খতিয়ান ডাউনলোড করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার হাতের ইলেকট্রনিক ডিভাইসটি টিতে গুগল বা ক্রোম দিয়ে eporcha gov bd লিখে সার্চ করতে হবে। সার্চ করলে আপনার সামনে অনেকগুলো খতিয়ান বের করার লিঙ্ক দেখতে পাবেন তার মধ্যে DLRMS ওয়েব সাইটটিতে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটটি দিয়ে প্রবেশ করলে খতিয়ান বের করার অফিসিয়াল সাইটটি আপনার সামনে ওপেন হয়ে যাবে। 

সাইটটিতে খতিয়ান বের করার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে ওয়েবসাইটটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। আপনাদের বোঝানোর সুবিধার্থে একটি সার্বিক খতিয়ান বের করে আপনাদের সামনে ইমেজের মাধ্যমে প্রকাশ করা হলোঃ
নামজারি-বা-সার্ভে-খতিয়ান-ডাউনলোড

সার্ভে খতিয়ান ডাউনলোড করার পর্যায় ও নিয়মাবলী 

  • প্রথমে সার্ভে খতিয়ান ডাউনলোড করার অফিসিয়াল লিংকে প্রবেশ করার পর সার্ভে খতিয়ান ও মৌজা খতিয়ান দুটির মধ্যে আপনার যেটি প্রয়োজন সেটি সিলেক্ট করতে হবে। সিলেক্ট করা হয়ে গেলে নিজের তালিকা অনুযায়ী খতিয়ান বের করার জন্য তথ্যগুলো পর্যায়ক্রমে দিতে হবে।
  • বিভাগঃ সার্ভে খতিয়ান তথ্য লক্ষ্য করলে নিচে তালিকাতে প্রথম পর্যায়ে আপনার বিভাগ সিলেক্ট করতে হবে।
  • জেলাঃ পর্যায়ে অনুযায়ী আপনার জেলা বা যে জায়গার খতিয়ান বের করতে চান সেই জায়গার জেলা নির্বাচন করতে হবে।
  • উপজেলা/থানাঃ তালিকা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে উপজেলা বা থানা যে কোন একটি সিলেক্ট করলেই হবে।
  • খতিয়ানের ধরনঃ সাবেক খতিয়ান বের করার জন্য খতিয়ানের ধরন নির্বাচন করা খুবই জরুরী। খতিয়ানের ধরন কয়েক রকমের হয়ে থাকে। যেমনঃ আর এস, এস এ, বি আর এস, সি এস হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে খতিয়ানের ধরন আপনি যেটি নিতে চান সেটি সিলেক্ট করতে হবে বা ক্লিক করুন।
  • মৌজা ঃ সার্ভে খতিয়ান বের করার জন্য আপনার সঠিক মৌজা দিতে হবে। আর যদি খুঁজে না পান তার ঠিক উপরে সার্চ অপশন রয়েছে সেখানে আপনার মৌজা সার্চ করে বের করে নিতে পারবেন।
  • খতিয়ানের তালিকাঃ সর্বশেষ খতিয়ানের তালিকা যেখানে আপনার খতিয়ানের তালিকা দিতে হবে। খতিয়ানের তালিকা দেওয়া হয়ে গেলে পুনরায় আপনার তথ্যগুলো আপনি নিজে যাচাই করে নিতে পারেন যাতে আপনি আপনার সার্ভিস খতিয়ান এর সঠিক তথ্য গুলো পেতে পারেন। যাচাই করা হয়ে গেলে খুঁজুন অপশনে ক্লিক করলেই আপনার সার্ভে খতিয়ানের তথ্যগুলো গুলো আপনার সামনে নিমিষেই চলে আসবে।
  • সর্বশেষ তথ্যগুলো নিরাপদ রাখার জন্য ডাউনলোড বা প্রিন্ট করে নিতে হবে।
সার্ভে-খতিয়ান-ডাউনলোড-করার-পর্যায়-ও-নিয়মাবলী
সার্ভে খতিয়ান বা মুজা-খতিয়ান ডাউনলোড করার প্রক্রিয়া গুলো আমার সত্য অনুযায়ী ও এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকলে আশা করি আপনি এতক্ষণ আপনার খতিয়ান অনলাইন থেকে খুঁজে বের করে ডাউনলোড করা শিখে গিয়েছেন। আগের সময়কার মতো খতিয়ানের তথ্য বের করার জন্য সময়ের অপচয় ও হয়রানি না হয়ে। বর্তমানে ঘরে বসে ইস্মার্ট ডিভাইস বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে খতিয়ানের তথ্য কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বের করাটা আপনার জন্য সুবিধা জনক নয় কি? খতিয়ান বের করার আরো প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম

অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের সাথে থাকুন। আপনি যদি অনলাইনে জমির দলিল বের করতে আগ্রহী হন তাহলে আমাদের পুরো পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কেননা পুরো পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে জমির খতিয়ান ও জমির দলিল বের করার উপায় বা নিয়ম গুলো আপনাদের মাঝে বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য। যেখানে অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করা হলো।

জমির দলিল অনলাইন থেকে আসলেই কি বের করা সম্ভব এরকম প্রশ্ন অনেকের মাঝে ইতিপূর্বে চলে এসেছে। হ্যাঁ আপনাদের মাঝে এরকম প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। অনলাইন থেকে জমির দলিল বের করা কি আদৌ সম্ভব সম্ভব। কতটুকু সত্যতা রয়েছে অনলাইন থেকে জমির দলিল বের করা যায় কিনা। আপনাদের মাঝে সঠিক তথ্য গুলো দিয়ে আলোচনা করব। যাতে আপনারা ভুলভাল তথ্য পড়ে হয়রানির সম্মুখীন না হন। চলুন তাহলে অনলাইন থেকে জমির দলিল বের করার কতটা সত্যতা রয়েছে জানা যাক।

আমার কাছে যদি প্রশ্ন করেন আসলেই কি অনলাইন থেকে জমির দলিল বের করা যায়? তাহলে আমি সরাসরি আপনাদের প্রশ্নের উত্তরটি হচ্ছে কোনভাবেই সম্ভব না অনলাইন থেকে জমির দলিল বের করা। অনলাইন থেকে জমির দলিল বের করার জন্য এখন পর্যন্ত ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে অফিসিয়াল ভাবে কোন উপায় দেওয়া হয়নি। একটি জমির দলিল শুধুমাত্র জমির মালিকানার কাছে থাকে। আর জমির মালিকানা হতে ভূমি একটি অফিসে মালিকানা থাকে যিনি রেজিস্ট্রি করে জমির মালিক হয়েছেন।

কিন্তু হ্যাঁ একটি জমি ক্রয় করার পূর্বে আমরা জমির মালিকের কাছে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে থাকি জমির তথ্যগুলো জানার জন্য। আর জমির তথ্যগুলো জানা যায় অনলাইনে কিছু উপায় অবলম্বন করে যা ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য বের করার উপায় গুলো লিগ্যাল  সাইড রয়েছে। যেখানে আপনি জমির বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে পারেন। মনে করেন আপনি একটি জমি ক্রয় করবেন আর জমিটি এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে আপনার কোন পরিচিত মানুষ নেই আর সেই সঠিক জমির তথ্যগুলো অনলাইনে মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।

পুরাতন দলিল বের করতে পারবেন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে

পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে। আপনি কি পুরাতন দলিল বের করতে চাচ্ছেন কিন্তু পুরাতন দলিল বের করার তেমন সঠিক অনুসন্ধান খুঁজে পাচ্ছেন না বা সেই সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই। আপনি কি পুরাতন দলিল বের করতে চান কিন্তু পুরাতন দলিল বের করার উপায় জানেন না। পুরাতন দলিল বের করার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি পুরাতন দলিল বের করতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলুন তাহলে আলোচনাগুলো জানা যাক।

পুরাতন বা নতুন দলিল কোন প্রকার দলিল অনলাইন থেকে বের করা যায় না। ইতিমধ্যে কথাটি শুনে অনেকেই অবাক হয়ে পোস্ট না পড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি বলি একটু দাঁড়ান অনলাইন থেকে পুরাতন বা নতুন কোন প্রকারের এখনো কোন উপায় ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে অফিসিয়াল ভাবে উপায় বের করা হয়নি কিন্তু হ্যাঁ পুরাতন বা নতুন দলিল সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য যে সকল তথ্য প্রয়োজন সেগুলো আপনি আপনার হাতের মোবাইল দ্বারা খুব সহজে অনলাইন থেকে বের করে নিতে পারবেন।

আর আমি আপনাদের আজ অনলাইন থেকে কিভাবে পুরনো দলিল সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য বের করা যায় সেটি আপনাদের মাঝে আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। আপনি যদি কোন জমি ক্রয় করতে চাচ্ছেন এবং সেই জমির সম্পর্কে তেমন সঠিক তথ্য যেমন জমির মালিকানা জমির পরিমাণ জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে কিনা সত্য-মিথ্যা সতর্কতা অনুযায়ী যাচাই করতে চাচ্ছেন কিন্তু অনুসন্ধান করার জন্য তেমন উপায় পাচ্ছেন না তাহলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়বেন।

জমির দলিল কথিত তথ্যগুলো জানার জন্য আমাদের কিছু পর্যায় অবলম্বন করতে হবে। পর্যায়গুলো অবলম্বন করার ফলে আপনি জমির দলিল সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো সহজেই আপনি পেয়ে যাবেন। তথ্যগুলো পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনার হাতের মোবাইলটির যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে সার্চ অপশনে সার্চ দিতে হবে eporcha gov bd ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করলে আপনার সামনে জমির দলিল তথ্যগুলো সহজে বের করতে পারবেন। 

দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলার নিয়ম

অনেকেই রয়েছেন দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলার নিয়ম সম্পর্কে তেমন ধারণা না থাকায় আমাদের কাছে জানতে চান কিভাবে অনলাইন থেকে দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলার যায়। আপনি যদি অনলাইন থেকে দলিলের সার্টিফাইড কপি তুলতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে আমার কথাগুলো শুনুন। অনেক সময় আমরা জমি ক্রয় করে থাকি এবং নিজের নামে মালিকানার রেলস্টেশন করি যাতে সেই জমির মালিকানা হতে পারি। আর ভূমি অফিসে জমির রেজিস্ট্রেশন করার পর সেই জমির দলিল পেতে অন্তত ২-৩ বছর লেগে যায়। 

যেহেতু আপনি একটি জমি ক্রয় করলেন এবং রেজিস্ট্রি পর্যন্ত করেছেন তা সত্ত্বেও আপনি সাথে সাথে আপনার জমির মালিকানার দলিল পাবেন না। দলিলটি হাতে পেতে অনেক সময় লেগে যায়। কিন্তু জমির দলিল আপনার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় যেমন অনেকের হয়ে থাকে।
  • জমি বিক্রয় করতে চাই
  • জমির উপর লোন নিতে চাই
  • জমি খারিজ করতে চাই
  • জমি হস্তান্তর করতে চাই
উপরের এইসব কারণে আপনার জমির দলিল খুবই প্রয়োজনীয়। আর এইসব প্রয়োজনগুলো সমাধান দিতে পারে সার্টিফাইড দলিলের কপি এর মাধ্যমে। কিন্তু আমরা সার্টিফাইড দলিলের কপি তোলার নিয়ম সম্পর্কে তেমন না জানার কারণে তুলতে পারি না। আর এই জন্য আমরা হয়রান হয়ে থাকি। আর আপনি অনলাইন থেকে দলিলের সার্টিফাইড কপি খুব সহজে তুলতে পারবেন বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আপনি যদি সার্টিফিকেট দলিল অনলাইন থেকে তুলতে চান তাহলে আমাদের সাথে থাকুন।

আপনি যদি দলিলের সার্টিফাইড কপি তুলতে চান তাহলে যেদিন আপনি জমিটি ক্রয় করছেন বা রেজিস্ট্রেশন করছেন যার মাধ্যমে তাকে আপনি ওই দিনই বলে দিতে পারেন আমার ওই জমির সার্টিফাইড দলিলটি লাগবে। তখন সে আপনার সার্টিফাইড দলিলটি তোলার জন্য অনলাইনে একটি আবেদন ফরম পূরণ করে আবেদন করে দিবে। যা কিছুদিনের মধ্যে আপনি সেই জমির সার্টিফাইড দলিলটি হাতে পেয়ে যাবেন।

দলিলের নকল তোলার খরচ ২০২৫

দলিলের নকল তোলার খরচ 2025। আপনি যদি অনলাইন থেকে নকল দলিল তুলতে চান এবং নকল দলীল তোলার জন্য নিয়ম জানেন না বা অনুসন্ধান করার উপায় গুলো জেনে না থাকেন তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। পোস্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন কিভাবে অনলাইন থেকে নকল দলিল তোলা যায় এবং নকল দলিল তোলার উপায় গুলো জানতে পারবেন। অনলাইন থেকে নকল দলিল তোলা খুবই সহজ।

আপনি যদি অনলাইন থেকে নকল দলিল তুলতে চান কিন্তু নকল দলিল তোলার উপায় গুলো জানেন না তবে জেনে নিন। অনলাইন থেকে নকল দলিল তোলা যায় যেটি আপনি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারেন। কেননা আমরা যখন কোন জমি ক্রয় করে রেজিস্ট্রি করি তখন সাথে সাথে আমরা সেই জমির দলিল হাতে পায় না। জমির আসল দলিল পেতে অন্তত দুই থেকে তিন বছর সময় লেগে যায়। আর এই দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে দলিলটি প্রয়োজন হয় সেজন্য সরকার নকল দলিল তোলার উপায়।

নকল দলিল তোলার জন্য প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রি অফিসের মুহুরিল যার থেকে জমি রেজিস্ট্রি করার সময় কাজে লাগিয়েছিলেন তাকে গিয়ে নকল দলিল তুলতে চান গিয়ে বললে সে আপনার জমি তথ্য অনুযায়ী অনলাইনে নকল দলিল তোলার জন্য আবেদন করে দিবে। আপনি জানলে খুশি হবেন নকল দলিল তোলার জন্য তেমন একটা টাকা লাগে না কেননা এটা সরকার থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ৪০০-৫০০ টাকার মধ্যে আপনি নকল দলিলটি কয়েকদিনের মধ্যে তুলে নিতে পারবেন।

যতদিন না আপনি আসল দলিলটি হাতে পাচ্ছেন ততদিন আপনি সার্টিফাইড নকল দলিলটি ব্যবহার করে আপনার প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারবেন। অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে নকল দলিলটি সার্টিফাইড কিনা। নকল দলিলটি তোলার পর সার্টিফিকেট নকল দলিল এ পরিণত করতে হবে। আর সার্টিফাইড নকল দলিল দিয়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় সকল ধরনের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। আশা করি আপনি ও উপায়গুলো অবলম্বন করে নকল দলিলটি তুলতে পারবেন।

জমির দলিল তোলার নিয়ম

আপনি কি জমির দলিল তুলতে চান? জমির দলিল হারিয়ে ফেলেছেন যার ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন? চিন্তার কোন বিষয় নয় কেননা আজ আপনাদের সামনে জমির দলিল তোলার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। যে নিয়ম গুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজে আপনার হারিয়ে যাওয়া দলিল তুলতে পারবেন। তাই বেশি কথা না বলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি আপনার জমির পুরাতন দলিল খুব সহজে তুলে নিতে পারবেন। আপনার জমির দলিল হারিয়ে যাওয়া বিষয়টি হুমকির মত।

আপনি আপনার জমির দলিল হারিয়ে ফেলেছেন? আপনার জমির দলিল অনেক পুরনো হয়ে যাওয়ার ফলে আপনার জমির দলিলটি হারিয়ে ফেলেছেন এবং জমির দলিল কিভাবে তুলবেন তার সঠিক ধারণা আপনার জানা নাই তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কেননা আর্টিকেলটিতে আমরা খুব সহজে আপনাদের জন্য জমির দলিল তোলার নিয়ম গুলো আলোচনা করেছি। যে নিয়মগুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজে আপনার জমির দলিল আপনার হাতের মুঠোয় পেয়ে যাবেন।

জমির দলিল দুইটি উপায়ে উত্তোলন করা যায়। কিভাবে উপায় দুটি অবলম্বন করে আপনি আপনার জমির দলিল তুলতে পারবেন। চলন জেনে নেওয়া যাক। আপনার জমির দলিল তোলার জন্য অবশ্যই আপনার জমির সেই দলিল সম্পর্কে কিছু ইনফরমেশন মনে রাখতে হবে যেই তথ্যগুলো দিয়ে পুনরায় আবার আপনার জমির দলিল টি তুলতে পারবেন। জমির দলিল তোলার জন্য দুইটি উপায় রয়েছে। উপাই দুটি আপনাদের মাঝে আলোচনা করা হলোঃ
  • প্রথম উপায়টি হলোঃ আপনি যে জমির দলিলটি তুলতে চাচ্ছেন সেই জমির দলিলের সিএস, আরএস অথবা বিএস দাগ নম্বর আপনাকে জানতে হবে। আর জমির দাগ নম্বর গুলো কোথা থেকে জানতে পারবেন? আপনার ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে আপনার জমির আর এস, সিএস, অথবা বিএস দাগ নম্বর জানতে পারবেন। তারপর খুঁজে বের করতে হবে আপনার জমির সর্বশেষ কে মালিকানা ছিল সে মালিকানার থেকে জমির নথিপত্র চেক করলে দলিলের দাগ নম্বরটা নিবেন। দলিলের দাগ নম্বর থেকে আপনি সহজে জমির সার্টিফাইড দলিলটি উত্তোলন করতে পারবেন। সার্টিফাইড দলটি উত্তোলন করা যায় দুই জায়গা থেকে এক হচ্ছে রেস্ট্রি অফিস থেকে আর দ্বিতীয় হচ্ছে রেকর্ড রুম থেকে।
  • দ্বিতীয় উপায়টি হলোঃ আপনার জমির সিএস,আরএস অথবা বিএস কোনই তথ্য জানেন না সেজন্য আপনার করণীয় হবে রেকর্ড রুমে সাজ তল্লাশি করা। আর প্রথমে লাগবে দলিলের সম্ভাব্য সাল জমিটি কত থেকে কত সালে প্রদান করা হয়েছে। দ্বিতীয় তথ্যটি হচ্ছে দলিলের দাতা ও গ্রহীতার নাম। সাথে দাতা ও গ্রহীতার পিতা ও মাতার নাম এবং সর্বশেষ রয়েছে দলিলের মুজা নম্বর। এই তথ্যগুলো প্রয়োগ করে আপনি সার্চ তল্লাশি করে একই পথ অবলম্বন করে সার্টিফাইড দলিল তুলতে পারবেন।
উপরের দুটি উপায় অবলম্বন করে আপনি খুব সহজে আপনার জমির দলিলটি উত্তোলন করতে পারবেন। উপায় গুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারলে আপনি আপনার জমির সার্টিফাইড দলিলটি কয়েক দিনের মধ্যে আপনার হাতে পেয়ে যাবেন এবং মাথায় রাখতে হবে যাতে আপনার জমির দলিলগুলো সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন যাতে পরবর্তীতে হয়রানির শিকার না হতে হয়। আশা করি উপরের উপায় দুটি অবলম্বন করে আপনি খুব সহজে জমির দলিলটি তুলতে পারবেন এবং দলিল বের করার নিয়ম গুলো ইতিপূর্বে শিখে গিয়েছেন।

পাঠকের মন্তব্যঃ ই পর্চা খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করুন

অবশেষে আপনাদের মাঝে ই পর্চা খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করুন পোষ্টির মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করতে পেরেছি। আশা করি আপনারা আমাদের পুরো পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে উপকৃত হয়েছেন। বর্তমানে আমরা অনলাইন থেকে কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া কি পর্চা খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করে সকল ধরনের তথ্য বের করতে পারবো যা আমাদের জন্য খুবই জরুরী। কি পচা খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করুন।

পুরো পোস্টটিতে সহজ ভাষাতে আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে যাতে আপনারা খুব সহজে আমার কথাগুলো বুঝতে পারেন এবং সঠিক নিয়ম গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার কারণে আপনারা সহজেই আপনাদের সমস্যাগুলো সমাধান নিজেই করতে পারবেন। পরবর্তীতে জমি বিষয়ে বা খতিয়ান অনুসন্ধান বিষয়ে কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হলে অবশ্যই আমাকে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন যাতে আপনাদের বিষয়গুলো বা সমস্যাগুলো খুব সহজে সঠিক নিয়মে সমাধান করতে পারি। 

এই পুরো কার্যকরী পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে যাতে আপনারা আপনাদের জমির খতিয়ান অনলাইন থেকে অনুসন্ধান করে জমির তথ্যগুলো খুব সহজে জানতে পারেন। যা আপনাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় হতে পারে। এছাড়া জমির দলিল তোলার নিয়ম, জমির দলিল তুলতে কত টাকা খরচ হতে পারে, কি উপায়ে সার্টিফাইড জমির দলিল তুলতে পারেন সকল বিষয়ে আশা করি পুরো পোস্টটি পড়ে আপনারা ধারণা পেয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। দৈন্যদিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের কার্যকরী বিষয়গুলো নিয়ে জানতে চাইলে আমাদের সাইটটিকে ফলো করুন এবং সবার প্রথমে তথ্যগুলো পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডিশপ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url