কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম-অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল চেক করার নিয়ম

কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম জানতে চান? অনলাইনে কিভাবে কারেন্টের বিল বের করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের মাঝে আজ তুলে ধরা হলো। বর্তমানে এই আধুনিক যুগে বিদ্যুৎ ব্যবহার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। কেননা আধুনিক যুগে সকল কাজের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা নিজেদের আধুনিক হবার কল্পনা করতে পারি না।
কারেন্ট-বিল-বের-করার-নিয়ম-সম্পর্কে-জানতে-চান
আধুনিক যুগে বিদ্যুৎ ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনে সকল কাজের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই আধুনিক যুগে মানুষ স্মার্ট ডিভাইস, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল, ওয়াইফাই, রাউটার, আধুনিক যন্ত্রপাতি ইত্যাদি বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়া ব্যবহার করা একেবারে সম্ভব না। এছাড়া এই আধুনিক যুগের সকল আধুনিক কাজের জন্য বিদ্যুৎ থাকাটা খুবই জরুরী। কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম গুলো আপনাদের মাঝে আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্র:কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম

কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম

কারেন্টের বিল বের করার নিয়ম অনেকের জানা নাই কিভাবে কারেন্টের বিল বের করা যায়? আপনিও যদি কারেন্টের বিল বের করার নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন। কেননা এই আর্টিকেলটিতে রয়েছে কিভাবে আপনি সহজে কারেন্টের বিল বের করতে পারবেন বা অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল চেক করার নিয়ম, বিদ্যুৎ বিল বের করার সূত্র, বিদ্যুৎ বিল কোথায় জমা দিবেন, বিদ্যুৎ বিল অনলাইনে কিভাবে দেওয়া যায় সব আলোচনা করা হলো।

আপনি যদি কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে অথবা কারেন্ট বিল কিভাবে বের করতে হয় সে সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন এবং সহজে কারেন্ট বিল বের করতে সফল হবেন। তাই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন পড়বেন। কেননা কারেন্ট আমাদের আধুনিক যুগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারেন্ট ছাড়া এই আধুনিক যুগে চলাচল করা একদমই সম্ভব না। আপনি ঘরে বসে সহজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কারেন্ট বিল বের করতে পারবেন।

আপনি যে এলাকায় অবস্থান করছেন সেই এলাকার বিদ্যুৎ প্রতিনিয়ত আপনার বাসায় ব্যবহার করে যাচ্ছেন। কখনো কি কল্পনা করে দেখেছেন? আপনি যে বাসায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন সেই বিদ্যুৎ আপনার বাসায় ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি কি পরিমান ভোল্টেজ টানছে অথবা বাসায় বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি যেমনঃ ফ্রিজ, টিভি, প্রতিটি রুমের লাইট, ইলেকট্রনিক চুলা, ফ্যান, কুকার, রাইস কুকার, ইত্যাদি আরো অনেক রয়েছে যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে ব্যবহার করে থাকি ।

বিদ্যুৎ বিলের হিসাব ২০২৫-ইউনিট বের করার সূত্র

বিদ্যুৎ বিল বের করার বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে। যে উপায়গুলো জেনে আপনি সহজে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করতে পারবেন। বিদ্যুৎ এই আধুনিক যুগে আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কেননা বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা নিজেদের এক সেকেন্ডও ভাবতে পারিনা। এই বিদ্যুৎ আমাদের সকল কাজকে সহজ করে দিয়েছে শুধু তাই নয়। দৈনন্দিন জীবনে বেঁচে থাকার জন্য আরামদায়ক করে তুলেছে বিদ্যুৎ ব্যবহার। আমরা প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি এবং প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে।

বিদ্যুৎ আমরা সব থেকে বেশি ব্যবহার করে থাকি এবং নিজেকে বিদ্যুৎ ছাড়া এক সেকেন্ড কল্পনা করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। আমরা যে বাসায় বসবাস করি জীবনকে সহজ করে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি বিদ্যুতের মাধ্যমে। এই ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি গুলো ব্যবহার করার ফলে আমাদের জীবন আরামদায়ক হয়ে উঠেছে। যেমন বাসায় বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি রয়েছে যেগুলো প্রতিনিয়ত রাত-দিন 24 ঘন্টা ব্যবহার করে থাকি। আর এই ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি গুলো কি পরিমান বিদ্যুৎ বা ভোল্টেজ টেনে থাকে সেগুলো আমাদের হিসাব করাটা জরুরী।

আপনিও যদি বিদ্যুৎ বিল হিসাব করতে চান ২০২৫ সাল অনুযায়ী তাহলে মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি পড়বেন। কেননা এই পোস্টটি পড়লে আপনি বিদ্যুৎ বিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সহজে বিদ্যুৎবিল হিসাব করে বের করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে বিদ্যুৎ বিল কিভাবে হিসাব করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা গুলো জেনে নেওয়া যাক।

 এক্সেল এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল বের করার নিয়ম। বিদ্যুৎ বিলের হিসাব ২০২৫ বের করার নিয়মঃ 
প্রথমে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অন করে নিতে হবে এবং এক্সেল এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। তারপর যে বাসার বিদ্যুৎ বিল হিসাব করতে চান সেই বাসার মালিকের নাম সাথে ফুল ডিটেলস দিতে হবে।যেমনঃ 

customer name: আবুল কাশেম
Meter number: মিটার নাম্বার
present unit : বর্তমানে কত ইউনিট বিল পুড়েছে
previous unit: আগে কত ইউনিট বিল ফুটেছে
total use: বর্তমান থেকে পূর্বের বিল কে বিয়োগ করা লাগবে
(total unit previous)

total amount
  • কোন কাস্টমার যদি বিদ্যুৎ খরচ ৫০ ইউনিট এর কম করে তাহলে তাকে প্রতি  ইউনিটে ৩ টাকা করে দেওয়া লাগবে।
  • কোন কাস্টমার যদি বিদ্যুৎ খরচ ১০০ ইউনিটের বা তার কম করে তাহলে তাকে প্রতি ইউনিটে ৪ টাকা করে দেওয়া লাগবে।
  • কোন কাস্টমার যদি বিদ্যুৎ খরচ ২০০ ইউনিটের বা তার কম করে থাকে তাহলে তাকে প্রতি ইউনিটে ৪.৫০ টাকা দেওয়া লাগবে।
  • কোন কাস্টমার যদি বিদ্যুৎ খরচ ৪০০ ইউনিটের বা তার কম করে তাহলে তাকে প্রতি ইউনিটে ৪.৭৫ টাকা দেওয়া লাগবে।
  • কোন কাস্টমার যদি বিদ্যুৎ খরচ ৬৫০ ইউনিটের বা তার কম করে থাকে তাহলে তাকে ৫.৫০ টাকা করে দেওয়া লাগবে।
  • কোন কাস্টমার যদি বিদ্যুৎ খরচ ৬৫০ ইউনিটের বেশি করে তাহলে তাকে প্রতি ইউনিটে ৮ টাকা করে দেওয়া লাগবে।
vat 10%
সবার জন্য ভ্যাট ১০% বরাদ্দ

previous due 
যদি কারো কোন বকেয়া থাকে

service charge 20 taka
সবার জন্য সার্ভিস চার্জ বিশ টাকা বরাদ্দ

meter charge 15 taka 
সবার জন্য মিটার চার্জ পনেরো টাকা

penalty 7%
যদি কারো কোন বকেয়া থাকে তাহলে তার ওপর জরিমানা করা হবে

total payment

বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ ইউনিট বের করার নিয়ম

বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ ইউনিট বের করার নিয়ম অনেকেই জানেন না। আপনিও যদি বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ ইউনিট বের করতে চান এবং নিয়ম গুলো জানতে চান তাহলে আমাদের সাথে থাকুন। বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ ইউনিট বের করার কয়েক রুমের উপায় রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে সূত্র প্রয়োগ করে বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ ইউনিট বের করা যায়। যা খুবই সহজ। আপনি যদি বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ ইউনিট বের করতে চান তার জন্য যাতে সহজ উপায় হলো সূত্র প্রয়োগ করে। ইউনিট বের করা। চলন তাহলে সূত্রের মাধ্যমে বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ ইউনিট বের করার সূত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

বাসা বাড়িতে কত টাকা বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে কিভাবে হিসাব করতে হয় সেই সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। how to check electricity usage online যেমন বাড়িতে একটি রাইস কুকার ব্যবহার হয় এই রাইস কুকার ৭০০ ওয়ার্ড। রাইস কুকারটির দৈনিক ২ ঘন্টা ব্যবহার করা হয়। এখন কত টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে সেটি বের করব। বিদ্যুৎ খরচকে এনার্জি খরচ বলা হয়। আর এনার্জিকে E দ্বারা প্রকাশ করা হয়। সূত্রটি (E=P/T )। P= পাওয়ার সাপ্লাই,T= টাইম বা সময়।

রাইস কুকার P= 700W 
রাইস কুকার দৈনিক ব্যবহার T= 2h
1kwh=1 unit 

E=P*T
  =700w*2h
  =1400wh/1000
  =1.4 kwh
  = 1.4 unit ব্যবহার হয়

  • এক মাসে রাইস কুকার বিদ্যুৎ খরচ বের করব: 
  • এক মাসে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ খরচ=30 ৩০ দিন*1.4 unit=42unit 
  • এক মাসে বিদ্যুৎ বিল আসবে=42*6 টাকা=250 টাকা
বিদ্যুৎ-বিলের-হিসাব-২০২৫-ইউনিট-বের-করার-সূত্র
এইভাবে বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ওয়ার্ড ও দৈনিক ব্যবহারের সময় অনুযায়ী সূত্র প্রয়োগ করে প্রতিমাসের বিদ্যুৎ বিল বের করতে পারবেন। বিদ্যুৎ বিল বের করার জন্য সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে তোর প্রয়োগ করে বিদ্যুৎ বিল বের করা। আশা করি বিদ্যুৎ বিল বের করার নিয়ম গুলো জেনে আপনিও সহজে আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিল বের করতে পারবেন।

খুব সহজে মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল কিভাবে হিসাব করবো

খুব সহজে মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল বের করা বা হিসাব করা যায়। আপনিও যদি মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল বের করতে চান বা হিসাব করতে চান তাহলে বিদ্যুৎ বিল বের করার উপায়গুলো জানা আপনার জন্য খুবই জরুরী। চলুন তাহলে কিভাবে আপনি সহজে আপনার বাড়ি বা বাসার বিদ্যুৎ বিল মিটার দেখে বের করবেন। বিদ্যুৎ বিল নিজে থেকে হিসাব করা খুবই জরুরী। কেননা অনেক সময় দেখা যায় আমাদের বাড়ির বিল আগের তুলনায় এই মাসে অনেকটা বেশি চলে এসেছে। এটা হতে পারে মূলত দুইটি কারণের জন্য। 

প্রথমত আপনি যে মিটারটি ব্যবহার করছেন হয়তো সেটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে অথবা আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল যে তৈরি করে সে হিসাব করতে ভুল করেছে। তাই অবশ্যই নিজের বাড়ির বিদ্যুৎ বিল নিজেকেই হিসাব করে তারপর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করাটা জরুরী। আপনিও যদি চান আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল নিজে থেকে হিসাব করে প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল বের করার সহজ উপায় গুলো জেনে নিন। বিদ্যুৎ বিল মিটার দেখে বের করার উপায় গুলো আলোচনা করা হলো।

মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল বের করার জন্য প্রথমত আপনাকে ইউনিট সম্পর্কে জানতে হবে। আমাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ বিল বের করার জন্য মিটার ব্যবহার করা হয়। সেই মিটারের বিদ্যুৎ বিলের ইউনিট প্রতিমাসের উঠে থাকে। আর আপনি যদি মিটার দেখে ইউনিট বের করতে চান তাহলে পূর্ব মাসের কত ইউনিট ছিল সিটির সাথে বর্তমান মাসের কত ইউনিট রয়েছে তা বিয়োগ করতে হবে। তাহলে আপনার ইউনিটি বের হয়ে যাবে। এবার আপনি যত ইউনিটটি বাসায় ব্যবহার করেন সেটির সঙ্গে এক ইউনিট সমান কত টাকা সেটির সাথে গুণ দিলে আপনার টাকার পরিমাণটি বের হয়ে আসবে।
 

বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার নিয়ম

বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার নিয়ম। সাধারণত যারা বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করে এবং বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার দায়িত্বে থাকে তারাই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করে থাকে। বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার কয়েক ধরনের উপায় রয়েছে তার মধ্যে একটি উপায় হচ্ছে এক্সেল এর মাধ্যমে কম সময় ও কম পরিশ্রমের মাধ্যমে খুব সহজে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করা যায়। বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিটেলস প্রয়োজন পড়ে। যেমন বিদ্যুৎ ব্যবহৃত কাস্টমারের নাম, কাস্টমারের মিটার নম্বর, কাস্টমারের পূর্বা মাসের কত টাকা লাগছে, কাস্টমারের পরবর্তী মাসে কত টাকা লাগছে।

Online পল্লী বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ

আমরা প্রতিমাসে আমাদের বাড়ির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকি। আর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। আগের যুগের মানুষ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য অনেক ধরনের শিকার হত। সামান্য প্রতিমাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য ব্যাংকে যেতে হতো এবং সেখানে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ভিড়ের মাঝে হয়রানি শিকার হয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করত। আবার বিদ্যুৎ বিল প্রতি মাসে নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধ না করলে জরিমানা দেওয়া লাগতো।

যা অনেকটা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করাটা চাপ সৃষ্টি করত হয়রানির সাথে সাথে। কিন্তু বর্তমান যুগে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা খুবই সহজ হয়ে পড়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে বাসায় বসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন। তার জন্য আপনার একটি স্মার্টফোন থাকা জরুরি সাথে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য বিকাশ নগদ অথবা ব্যাংকে একাউন্ট থাকাটা জরুরী। আপনি ঘরে বসে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল সহজেই পরিশোধ করতে পারবেন।

বিকাশের মাধ্যমে কিভাবে আপনি ঘরে বসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবেন তার নিয়ম গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। বিকাশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য আপনার ফোনে অবশ্যই একটি বিকাশ একাউন্ট থাকা জরুরী। বিকাশ অ্যাপসে প্রবেশ করলে আপনি সেখানে বিদ্যুৎ পেমেন্ট অপশন দেখতে পারবেন। সেখানে গিয়ে আপনি আপনার ব্যবহৃত বিদ্যুতের অবস্থান নির্বাচন করতে হবে যেমন পল্লী বিদ্যুৎ সিলেক্ট করতে হবে। তারপর আপনার মিটার নম্বর যাবতীয় details গুলো দিয়ে সাথে সাথে আপনি তাদের নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে বিলগুলো পরিশোধ করতে পারবেন।

বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য আবেদন

আমাদের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করাটা খুবই জরুরী। কেননা আমরা বিদ্যুৎ ছাড়া নিজেকে এক সেকেন্ডও কল্পনা করতে পারি না। এই আধুনিক যুগে সকল ধরনের জরুরী কাজের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আমরা আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছি। এবং প্রতিটি কাজকে আরো সহজ করে চলেছি। যা আমরা ব্যবহার করে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কাজ করতে পারি। জন্য দিন জীবনে আমরা প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি। 

অনেক সময় দেখা যায় আমাদের বাড়ির বিদ্যুৎ বিল আগের মাসের তুলনায় বিদ্যুৎ বিল অনেকটা বেশি চলে আসছে অথচ আমরা আলাদাভাবে বাসায় তেমন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিনা। আপনারও যদি বাসায় আগের মাসের তুলনায় এই মাসে বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল চলে আসে তাহলে সেটি হতে পারে আপনার মিটারের সমস্যা অথবা যে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করে তার ভুল। আর এইরকম যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়।

উপায় গুলো জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। বাড়ির বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার জন্য আপনার করণীয় হচ্ছে বিদ্যুৎ অফিসে একটি আবেদন ফরম অনলাইনের মাধ্যমে জমা করে দেওয়া এবং বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার কারন সমস্যা হিসেবে তুলে ধরতে হবে। আপনাকে তেমন কোন কিছু করা লাগবে না শুধুমাত্র আপনার বাসার বা বাড়ির আশেপাশে কম্পিউটার দোকানে গিয়ে একটি বিদ্যুৎ বিল কমানোর আবেদন ফরম তৈরি করে বিদ্যুৎ অফিসে পাঠিয়ে দিতে হবে।

আবেদনটি তাদের কাছে চলে গেলে তারা আপনার মিটার নাম্বার অনুযায়ী বিদ্যুৎ বেশি আসার কারণ গুলো যাচাই-বাছাই করে সেই সমস্যার সমাধান তারা দিয়ে থাকবে। আপনারও যদি আগের মাসের তুলনায় এই মাসে বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎবিল এসে থাকে তাহলে অবশ্যই অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার কারণে হিসেবে আবেদন করতে পারেন। এতে করে আপনি সঠিক সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন আশা করা যায়। নিত্যদিনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করবেন।

বিকাশ-নগদের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ

বিকাশ নগদ এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল প্রতি মাসে খুব সহজে পরিশোধ করতে পারবেন। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য অবশ্যই আপনার একটি স্মার্ট ফোন থাকা জরুরী সাথে বিকাশ নগরদের একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং সেই একাউন্টে প্রজাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকা লাগবে। আপনার যদি বিকাশ বা নগদে অ্যাকাউন্ট না থাকে তার জন্য একটি বিকাশ তৈরি করে নিতে হবে এবং সেই একাউন্টে প্রজাপ্ত পরিমাণ টাকা ক্যাসিন করে নিতে হবে। এগুলো করা হয়ে গেলে আপনি ঘরে বসে সহজে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন বিকাশের মাধ্যমে।

আপনিও যদি ঘরে বসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে চান তাহলে খুব সহজে বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এই আধুনিক যুগে সকল কাজ বা সমস্যার সমাধান খুব কম সময়ে দিয়ে থাকে। একটা সময় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য আমাদের আশেপাশে ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে বাড়ির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসতে হতো। যার জন্য বড় ধরনের হয়রানি হওয়া লাগতো। কিন্তু এই বর্তমান যুগে আপনি ঘরে বসে বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে খুব সহজে কম সময়ের মধ্যে আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন।

বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য বিকাশ বা নগদে গিয়ে সেখানে বিল পেমেন্ট নামের একটি অপশন রয়েছে সেখানে চাপ দিলে আপনার বিদ্যুৎ অফিস নির্বাচন করে মিটার নাম্বার বসে সাথে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য দিয়ে। সাথে সাথে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।

কারেন্ট বিল বেশি আসার কারণ

লেখক এর মন্তব্যঃ কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম

কারেন্ট বিল বের করার বিভিন্ন ধরনের উপায় বা নিয়ম রয়েছে। উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজে আপনার বাড়ি বা বাসার বিদ্যুৎ বিল বের করতে পারবেন এবং আপনি নিজে থেকে বিদ্যুৎ বিল যাচাই বাছাই করে নিতে পারবেন। এতে করে আমাদের বাড়ির বিদ্যুৎ বিল ভুলবশত বেশি বা কম এসেছে কিনা সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় আগের তুলনায় পরবর্তী মাসে আমাদের বাড়ি বা বাসার বিদ্যুৎ বিল অনেকটা বেশি চলে এসেছে। 

বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার দুইটি কারণ হতে পারে প্রথমত আপনার ব্যবহৃত মিটারটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে অথবা বিদ্যুৎ অফিস থেকে যে ব্যক্তির বিদ্যুৎ বিল তৈরি করে সে ভুল করে দিয়েছে। এখন আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল কম বা বেশি এসেছে কিনা সেটি জানার জন্য অবশ্যই বিদ্যুৎ বিল বের করার নিয়মগুলো আপনার জানাটা খুবই জরুরী তবেই আপনি নিজে থেকে আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল বের করতে পারবেন এবং যাচাই-বাছাই করে নিতে পারবেন। 

এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে যদি করে থাকেন তাহলে আশা করা যায় আপনি খুব সহজে নিয়মগুলো অবলম্বন করে বিদ্যুৎ বিল বের করতে পারবেন এবং সেটি যাচাই-বাছাই করে বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিল বের করার নিয়ম আলোচনা করার সাথে সাথে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, বিদ্যুৎ আসলে কিভাবে আবেদন করবেন এই সকল বিষয়ে এই পোস্টটিতে আলোচনা করা হয়েছে তাই অবশ্যই মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি করবেন।(ধন্যবাদ)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডিশপ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url